পটল দোপেয়াজা || Bangalir Ranna Banna

পটল দোপেয়াজা || Bangalir Ranna Banna

পটল দোপেয়াজা রেসিপি

আজ আমি পটল দোপেয়াজা বানিয়ে দেখাব। ভিন্ন স্বাদের একটি পটল রেসিপি। রান্নাতে দু'ভাবে পেঁয়াজ ব্যবহার করেছি তাই রেসিপির নাম হল দোপেয়াজা। এটা আপনারা চাইলে ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

 Potol-do-peyaj-bangalir-ranna-banna

উপকরণঃ-
পটল ৫০০ গ্রাম ( পটলের গা চেঁচে নিয়ে দু'ধার কেটে ফেলে দিয়ে ৪ ভাগ করে নিতে হবে, চাইলে পটলের মাঝে মাঝে খোসা ফেলে দিতে পারেন )
পেঁয়াজ কুঁচি ২ টি ( প্রথমে পেঁয়াজ ৪ ভাগ করে নিতে হবে, তারপর একটা একটা করে খোল ছাড়িয়ে নিতে হবে )
পেঁয়াজ বাটা ১ টি
সরষের তেল
গোটা জিরা সামান্য
গোটা মৌরি সামান্য ( হাতের কাছে যদি মৌরি না থাকে, তা হলে না দিয়েও কিন্তু এটা বানাতে পারেন)
আদা বাটা ১/২ চামচ
রুসুন বাটা ১/২ চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ
নুন পরিমাণ মতো
ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ
জিরা গুঁড়ো ১/২ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ
টম্যাটো কুঁচি ১ টি
গরম মসালা গুঁড়ো সামান্য
আর লাগছে ধনেপাতা কুঁচি ।

কি ভাবে বানাবেন এই পটল দোপেয়াজা?



প্রণালিঃ-
প্রথমে কড়াই গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে গোটা জিরা আর গোটা মৌরি দিয়ে দিতে হবে। তেলে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। এতে গন্ধটা ভালো আসবে।
এবার তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পটল, আদা বাটা, রুসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো আর দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন।
এবার সব উপকরণ ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। যতো ভালোভাবে সব উপকরণ ভাজা হবে রান্নাটা কিন্তু খেতে ততো ভালো লাগে। তাছাড়া আদা - রুসুন আর পেঁয়াজ এর কাঁচা গন্ধটা থেকে গেলে স্বাদ অনেকটাই কমে যাবে।
নাড়াচাড়া করতে করতেই কিন্তু পটল খুব ভালোভাবে ভাজা হয়ে যায়।
সব উপকরণ ভালোভাবে ভাজা হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে - ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো আর দিতে হবে লঙ্কা গুঁড়ো। লঙ্কা গুঁড়োটা অবশ্যই ঝাল বুঝে দিতে হবে। এবার এই সব উপকরণ নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
এরপর জল দিয়ে দিতে হবে। জল কিন্তু খুব বেশি দেওয়ার দরকার নেই।
গ্রেভি ফুটে উঠলে ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ৫ মিনিট। তবে আঁচ কমিয়ে দিতে হবে।
৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে। ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি আর বড়ো বড়ো করে পেঁয়াজ কাটা । যদি খাবারে মিষ্টি পছন্দ করেন, তা হলে এসময় একটু চিনি দিয়ে দিতে পারেন।
সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১০ মিনিট।
১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিয়ে, দিয়ে দিন গরম মশালা গুঁড়ো আর ধনে পাতা কুঁচি।
সব উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেলো পটল দোপেয়াজা ।।





বিস্তারিত পড়ুন

এগ ফ্রাইড রাইস - Bangalir Ranna Banna

এগ ফ্রাইড রাইস - Bangalir Ranna Banna

এগ ফ্রাইড রাইস রেসিপি

 এগ ফ্রাইড রাইস, খুবই পরিচিত একটি রেসিপি। আমরা সাধারণত হোটেল বা রেস্টুরেন্ট গুলোতে খেয়ে থাকি, তার স্বাদ হয় আসাধারন। ওতে ডিমের সাথে সাথে কিছু সব্জি ও দেওয়া থাকে। কিন্তু আজ আমি খুবই সাধারন একটি এগ ফ্রায়েড রাইস বানিয়ে দেখাব। হাতে যখন সময় একদম থাকবে না, এই রেসিপিটি বানাতে পারেন। এটাও খেতে কিন্তু সুস্বাদু হয়।

Egg-fried-rice-bangalir-ranna-banna

 উপকরনঃ-
সাদা ভাত ২ কাপ
সাদা তেল
পেঁয়াজ কুঁচি ১ টা ( পেঁয়াজ টা কাটতে হবে খুবই ছোট ছোট করে )
কাঁচা লঙ্কা কুঁচি ১
ডিম ২ টি
পরিমাণ মতো নুন
বাটার ১ চামচ
গোলমরিচ এর গুঁড়ো
সয়া সস সামান্য

কি ভাবে বানাবেন এই এগ ফ্রাইড রাইস?




প্রণালিঃ-
প্রথমে কড়াই গরম করে সামান্য তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুঁচি টা দিয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ কুঁচি ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে ওর মধ্যে কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে দিতে হবে। তেলে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
এখন ২ কাপ সাদা ভাত একটা পাত্রে নিয়ে নিতে হবে। ওর মধ্যে ডিম দুটো ফাটিয়ে দিয়ে দিতে হবে। ভাত আর ডিম একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে চামচ এর সাহায্যে ।
এরপর ডিম মেশান ভাত দিয়ে দিতে হবে কড়াই তে। দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন আর ১ চামচ বাটার।
এবার এই সব উপকরণ ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। যতো ভালোভাবে ভাজা হবে খেতে কিন্তু তত ভালোলাগে। আসলে ভাত ভালোভাবে ভাজা হলে ডিমের যে একটা গন্ধ থাকে সেটা চলে যায়।
ভাত ভালোভাবে ভাজা হলে ঝাল বুঝে দিয়ে দিতে হবে গোলমরিচ এর গুঁড়ো। আর দিতে হবে সামান্য সয়া সস।
সব উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল খুবই সাধারন এগ ফ্রায়েড রাইস।।


বিস্তারিত পড়ুন

কাতলা ভাপা | Katla Vapa Recipe | Bangalir Ranna Banna

কাতলা ভাপা | Katla Vapa Recipe | Bangalir Ranna Banna

কাতলা ভাপা রেসিপি

কাতলা ভাপা, খুবই পরিচিত একটি রেসিপি। আমরা অনেকে চিংড়ি মাছ ভাপা বা ইলিশ মাছ ভাপা খেতে ভালবাসি কারন এদের আঁশটে গন্ধ থাকে না। কাতলা বা রুই ভাপা বানালে নাকি মাছের একটা আঁশটে গন্ধ বের হয়। কিন্তু আমি যে পদ্ধতিতে কাতলা ভাপা বানিয়ে থাকি, এতে কিন্তু মাছের আঁশটে গন্ধ থাকে না। তা হলে দেখে নিন কাতলা ভাপা বানাতে কি কি উপকরণ লাগছে।

 katla-vapa-recipe-bangalir-ranna-banna

উপকরণঃ-
কাতলা মাছ ২০০ গ্রাম ( পেটি বা গাদার পিস নিতে পারেন )
সরষের তেল
পেঁয়াজ কুঁচি ১
আদা - রুসুন বাটা ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ঝাল বুঝে দিতে হবে
হলুদ গুঁড়ো সামান্য
পোস্ত ২ চামচ
কালো সরষে বা সাদা সরষে ২ চামচ
কাঁচা লঙ্কা
পরিমাণ মতো নুন
টক দই ২ টেবিল চামচ ( আপনাদের হাতের কাছে যদি টক দই না থাকে তা হলে কিন্তু টক দই না দিয়েও এটা বানাতে পারেন)
কাঁচা লঙ্কা ৩ টি

কি ভাবে বানাবেন এই কাতলা ভাপা?




প্রনালিঃ- 

প্রথমে একটা পাত্র গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুঁচিটা টা দিয়ে দিতে হবে। এবার পেঁয়াজটা ভালো ভাবে ভেজে নিতে হবে।
পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে ওর মধ্যে এর এক করে কিছু উপকরণ দিয়ে দিতে হবে। দিতে হবে আদা - রুসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো সামান্য আর দিতে হবে ঝাল বুঝে লঙ্কা গুঁড়ো। এবার সব উপকরণ ভালো ভাবে ভেজে নিতে হবে, যাতে আদা - রুসুনের কাঁচা গন্ধটা চলে যায়।
সব উপকরণ ভাজা হলে নিমিয়ে নিতে হবে যে পাত্রে ভাপা বানানো হবে।
এরপর পোস্ত, সরষে ,নুন আর ১ টা কাঁচা লঙ্কা জল দিয়ে খুব ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
সব উপকরণ পেস্ট হলে, যে পাত্রে ভাপা বানানো হবে সেই পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। পাত্রে উপকরণ লেগে থাকলে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে নিতে হবে।
এরপর ওর মধ্যে টক দই টা নিয়ে নিতে হবে। টক দই দিলে গ্রেভি গাঢ় হয়। তবে আপনাদের কাছে যদি টক দই না থাকে না দিয়েই কিন্তু এটা বানাতে পারেন। আর দিতে হবে ২ চামচ কাঁচা সরষের তেল। যদি মনে হয় আরও নুন লাগবে টা হলে এসময় দিয়ে দিতে পারেন।
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
ওর মধ্যে মাছের পিস দিয়ে দিতে হবে। মশলার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার টিফিন বক্স এর ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে কারন এটা ভাপে বসানো হবে।
ভাপে বসানোর জন্য একটা বড়ো পাত্রে জল নিয়ে গরম হতে বসিয়ে দিতে হবে, তবে জল কিন্তু খুব বেশি দেওয়ার দরকার নেই। জলের মধ্যে টিফিন বক্স টা বসিয়ে দিতে হবে। এবার জলের পাত্রে ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে। এবার এটা হতে দিতে হবে ৩০ মিনিট। তবে আঁচটা কমিয়ে দিতে হবে।
৩০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নিন। তার পর টিফিন বক্স একটু ঠাণ্ডা হলে তুলে নিন।
তৈরি হয়ে গেল কাতলা ভাপা।।
বিস্তারিত পড়ুন

পটল বাহার || Bangalir Ranna Banna

পটল বাহার || Bangalir Ranna Banna

পটল বাহার রেসিপি

 আজ আমি পটল বাহার বানাব। পটল আর মুগডাল দিয়ে এটা বানানো হয়। তবে এটা একটা নিরামিষ রেসিপি। এই রেসিপি ভাত ও রুটি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। তা হলে দেখে নিন এই পটল বাহার বানাতে কি কি লাগছে।


Potol-bahar-Bangalir-ranna-banna

উপকরণঃ-
পটল ৪ টি ( পটলের খোসা আর দুধার কেটে ফেলে দিয়ে দুভাগ করে নিতে হবে )
মুগ ডাল ১/২ কাপ ( মুগ ডাল রান্নার আগে ধুয়ে নিতে হবে )
আলু ১ টা ( আলু সরু লম্বা লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে )
কাঁচা লঙ্কা চেরা ২ টি
টম্যাটো কুঁচি ১ টা
হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ
চিনি স্বাদ মতো
নুন পরিমাণ মতো
গরম মাশালা গুঁড়ো ১/৪ চামচ
ঘি ১ চামচ
তেজপাতা ১ টা
শুকনো লঙ্কা ১ টা
গোটা জিরা সামান্য
আর লাগছে সরষের তেল ।

কি ভাবে বানাবেন এই পটল বাহার?



প্রণালিঃ-
প্রথমে কড়াই গরম করে সরষের তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে আলু আর পটল দিয়ে দিতে হবে। আলু আর পটল যেন একসাথে সেদ্ধ হয় সেই মতো কিন্ত কাটতে হবে। এবার আলু আর পটল ভালো ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
পটল আর আলু ভালোভাবে ভাজা হলে তুলে নিতে হবে।
এরপর ওই তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা আর গোটা জিরা। তেলে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিতে হবে এতে গন্ধ টা ভালো আসবে।
এবার মুগডাল দিয়ে দিতে হবে। মুগডাল ভালোভাবে ভাজতে হবে। যেহেতু মুগডাল আগে ধুয়ে নিয়েছিলাম, তাই ভাজতে একটু সময় লাগে।
ডাল ভাজা হলে ওর মধ্যে এক এক কিছু উপকরণ দিয়ে দিতে হবে। দিতে হবে ভেজে রাখা আলু - পটল, কাঁচা লঙ্কা চেরা, টম্যাটো কুঁচি, হলুদ গুঁড়ো আর দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন। এখন এই সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর জল দিয়ে দিতে হবে। সব উপকরণ যেন জলে ডুবে থাকে সেই মতো জল দিলেই হবে। আর দিতে হবে সামান্য চিনি। নিরামিষ খাবারে একটু চিনি দিলে স্বাদ ভালো হয়। তবে আপনারা যদি খাবারে মিষ্টি পছন্দ না করেন, তা হলে কিন্তু চিনি না দিয়েও এটা বানাতে পারেন।
সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট। তবে আঁচটা কমিয়ে দিতে হবে।
কিন্তু মাঝে একবার ঢাকা খুলে নিতে হবে, সব উপকরণ নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে।
১৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিন। এই রান্নাতে ডাল সেদ্ধ হবে কিন্তু গলে যাবে না।
নামানোর আগে দিয়ে দিতে হবে গরম মশালা গুঁড়ো আর দিতে হবে ঘি।
সব উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল পটল বাহার।।
বিস্তারিত পড়ুন

ফিশ ফ্রাই - কি ভাবে বানাবেন ফিশ ফ্রাই রেসিপি

ফিশ ফ্রাই - কি ভাবে বানাবেন ফিশ ফ্রাই রেসিপি

ফিশ ফ্রাই রেসিপি

ফিশ ফ্রাই এমনি একটা খাবার যে, ছোট থেকে বড়ো আমরা সবাই ভালবাসি। এটা বানানো কিন্তু খুবই সহজ । তা হলে দেখে নিন এই ফিশ ফ্রাই বানাতে কি কি লাগছে।

 Fish-Fry-Bangalir-ranna-banna

উপকরণঃ-
ভেটকি মাছ ৪ পিস ( ভেটকি মাছের চামড়া আর কাঁটা কিন্তু ফেলে দিতে হবে । দোকানে গিয়ে বললেই কেটে দেয় ) ।
পেঁয়াজ বাটা ২ চামচ
কাঁচা লঙ্কা বাটা ১ টা ( ১ টা কাঁচা লঙ্কা আর একটা ছোট পেঁয়াজ এক সাথে বেটে নিলেই হবে )
আদা - রুসুন বাটা ১/২ চামচ
নুন পরিমাণ মতো
লেবুর রস ১/২ চামচ
গোল মরিচ এর গুঁড়ো
ফিশ ফ্রাই মশালা ১/২ চামচ
গরম মশালা গুঁড়ো ১/৪ চামচ
বাটার ১ চামচ
ডিম ১ টা
ব্রেড ক্রাম্বস
ভাজবার জন্য তেল

কি ভাবে বানাবেন এই ফিশ ফ্রাই?  



প্রণালিঃ-
প্রথমে মাছ ম্যারিনেট করবার জন্য একটা পাত্রে নিয়ে নিতে হবে। এরপর মাছের মধ্যে এর এর করে কিছু উপকরণ দিয়ে দিতে হবে। দিতে হবে ফিশ ফ্রাই মশালা ( এই ফিশ ফ্রাই মশালা আমি বাজার থেকে কিনেছি ), গরম মশালা গুঁড়ো, গোল মরিচ এর গুঁড়ো দিতে হবে ঝাল বুঝে , আদা - রুসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা আর পেঁয়াজ বাটা, দিতে হবে বাটার, লেবুর রস আর দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন।
এবার এই সব উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এরপর এটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে ফ্রিজের মধ্যে ১ ঘণ্টা।
১ ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে নিতে হবে আর ওর মধ্যে ডিম টা ফাটিয়ে দিয়ে দিতে হবে। মাছের সাথে ডিমটা মাখিয়ে নিতে হবে।
এরপর একটা মাছের পিস নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে ব্রেড ক্রাম্বস এর মধ্যে। ভালো ভাবে মাছে ব্রেড ক্রাম্বস লাগিয়ে নিতে হবে। সব মাছে ভালো ভাবে ব্রেড ক্রাম্বস লাগিয়ে নিতে হবে।
মশলা আর ডিমের মিশ্রণ রয়ে গেলে আবার মাছে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর আবার ব্রেড ক্রাম্বস লাগিয়ে নিতে হবে। দুবার ব্রেড ক্রাম্বস লাগলে ফ্রিশ ফ্রাই খুবই মচমচে হয়।
এরপর মাছ ভাজবার জন্য তেল গরম হতে দিতে হবে। তেল কিন্তু খুব বেশি ভাজবার দরকার নেই। তেল গরম হলে এর এর করে মাছের পিস দিয়ে দিতে হবে।
মাছের পিস উল্টে পাল্টে লাল করে ভেজে নিতে হবে।
ভালোভাবে ভাজা হলে তুলে নিন ফিশ ফ্রাই। তবে ভালো ভাবে তেল ঝড়িয়ে নিতে হবে।।
বিস্তারিত পড়ুন

পুর ভরা পটল ভাজা ; সুস্বাদু পটল ভাজা রেসিপি

পুর ভরা পটল ভাজা ; সুস্বাদু পটল ভাজা রেসিপি

পুর ভরা পটল ভাজা

পুর ভরা পটল ভাজা; এটি একটি নিরামিষ রেসিপি। পটলের নানা ধরনের রেসিপি হয়তো এর আগে অনেক খেয়েছন ,কিন্ত এই মজদার পটল ভাজা যদি এর আগে না খেয়ে থাকেন আজই বানিয়ে ফেলুন। খুবই টেস্টি হয় খেতে। এটা অবশ্যই গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।

 Pur-Vora-Potol-Vaja-Bengali-Recipe

 উপকরনঃ-
পটল ৩ টি
পরিমাণ মতো নুন
হলুদ গুঁড়ো
সরষের তেল
নারকেল বাটা ২ চামচ
পোস্ত বাটা ২ চামচ
চিনি সামান্য
কাঁচা লঙ্কা বাটা
বেসন

কি ভাবে বানাবেন এই পুর ভরা পটল ভাজা?



প্রণালিঃ-
প্রথমে পটল গুলোর গা চেঁচে দুধার কেটে ফেলে দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পটল গুলো দু ভাগ করতে হবে। এবার একটা চামচ এর সাহায্য পটলের বীজ আর শাঁস বের করে নিতে হবে। খুব সহজেই কিন্তু বের হয়ে যার। সব পটল থেকেই কিন্তু বীজ আর শাঁস বের করে নিতে হবে।
এবার পটল গুলোতে পরিমাণ মতো নুন আর সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিতে হবে। হাত দিয়ে পটলে নুন আর হলুদ টা ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
আর পটলের বীজ আর শাঁস মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। বীজ আর শাঁস যেহেতু কম, পেস্ট বানাতে আসুবিধা হতে পারে, তাই জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
এরপর পুর বানানোর জন্য পাত্র গরম করে তেল দিতে হবে। তেল গরম হবে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে নারকেল বাটা, পোস্ত বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা ( কাঁচা লঙ্কা বাটা অবশ্যই ঝাল বুঝে দিতে হবে ), দিয়ে দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন, স্বাদ মতো চিনি, সামান্য হলুদ গুঁড়ো আর দিয়ে দিতে হবে পটলের বীজ আর শাঁস বাটা। আমি এখানে আলাদা আলাদা উপকরণ গুলো বেটেছি, তো আপনারা চাইলে একসাথে বেটে নিতে পারেন।
এবার এই সব উপকরণ ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, যাতে পটলের কাঁচা গন্ধ টা চলে যায়।
সব উপকরণ নাড়াচাড়া হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর এই পুর চামচ দিয়ে পটলে ভরে নিতে হবে। ভালো ভাবে চেপে দিতে হবে। পুরের ওপরে ছড়িয়ে দিতে হবে অল্প বেসন । বেসন দিলে পটল ভাজা টা খেতে ভালো হয়, তা ছাড়া পুর বেড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। তবে বেসন কিন্তু বেশি দেওয়ার দরকার নেই। একিভাবে সর কটা পটলে পুর ভরে নিতে হবে।
এরপর এই পুর ভরা পটল ভাজবার জন্য কড়াই গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে এক এক করে পুর ভরা পটল দিয়ে দিতে হবে। একপিঠ হলে উল্টে দিতে হবে। দুপিঠই কিন্তু উল্টে পাল্টে লাল করে ভেজে নিতে হবে।
পটল ভাজা হলে তুলে নিন। তৈরি হয়ে গেল পুর ভরা পটল ভাজা।
বিস্তারিত পড়ুন

এঁচোড় পোস্তঃ কি ভাবে বানাবেন এই এঁচোড় পোস্ত?

এঁচোড় পোস্তঃ কি ভাবে বানাবেন এই এঁচোড় পোস্ত?

 এঁচোড় পোস্ত

এঁচোড় পোস্ত; কি প্রথম শুনছেন বুঝি এমন রেসিপির নাম ? ঝিঙে পোস্ত বা আলু পোস্তর মতই কিন্তু খেতে টেস্ট হয় এই এঁচোড় পোস্তর। হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়েই আমি এটা বানিয়ে থাকি। আর এখন তো বাজার এ এঁচোড় পাওয়া যায়। আর পোস্ত আমাদের বাঙালীদের তো প্রিয় খাবার। তা হলে দেখে নিন আমি এই এঁচোড় পোস্ত বানাতে কি কি লাগছে।

Echor-Posto-Bengali-Veg-Recipes

উপকরণঃ-
এঁচোড় ২৫০ গ্রাম ( এঁচোড় এর খোসা ফেলে দিয়ে কিন্তু ছোট ছোট করে কাটতে হবে। আর এই এঁচোড় পোস্ত বানতে নরম এঁচোড় হলে ভালো হয় )
পোস্ত ৪ টেবিল চামচ ( জল দিয়ে পোস্ত টা ভালোভাবে বেটে নিতে হবে)
সরষের তেল
দারচিনি ১
এলাচ ৪
লবঙ্গ ৪
গোটা জিরা সামান্য
আদা - রুসুন বাটা ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো ১/২ চামচ
নুন পরিমাণ মতো
কাঁচা লঙ্কা ৩
গরম মশালা গুঁড়ো সামান্য

কি ভাবে বানাবেন এই এঁচোড় পোস্ত?



প্রণালিঃ-
এঁচোড় পোস্ত বানানোর জন্য কড়াই গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে ফোড়ন দিয়ে দিতে হবে এলাচ, লবঙ্গ ,দারচিনি আর গোটা জিরা। তেলে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, যাতে গন্ধ টা ভালো আসে।
এবার এঁচোড় দিয়ে দিতে হবে। আমি এখানে খুবই নরম এঁচোড় নিয়েছি তাই সেদ্ধ করলাম না। আপনারা চাইলে এঁচোড় আগে একটু সেদ্ধ করে নিয়ে এই রান্নাটা করতে পারেন। এখন এঁচোড় টা ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে কারন এঁচোড় এ একটা আঠা ভাব থাকে। তবে এঁচোড় ভালোভাবে ভাজলে সেই আঠা ভাবটা চলে যায়।
এঁচোড় ভালোভাবে ভাজা হলে আদা - রুসুন বাটাটা দিয়ে দিতে হবে। আদা- রুসুন তেলে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, যাতে এদের কাঁচা গন্ধটা চলে যায়।
এরপর এর মধ্যে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো , জিরা গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা, পরিমাণ মতো নুন আর দিতে হবে পোস্ত বাটা। পোস্ত বাটার পাত্রে পোস্ত লেগে থাকলে টা ধুয়ে দিয়ে দিতে হবে।
এবার সমস্ত উপকরণ নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, যাতে পোস্ত বাটার কাঁচা গন্ধ টা চলে যায়।
এরপর দিয়ে দিতে হবে জল। এঁচোড় যেন ডুবে থাকে সেই মতো জল দিতে হবে।
গ্রেভি ফুটে উঠলে ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট, তবে আঁচটা কমিয়ে দিতে হবে।
১৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিন। ছড়িয়ে দিতে হবে গরম মশালা গুঁড়ো। মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল এঁচোড় পোস্ত।
এই এঁচোড় পোস্ত গরম ভাত দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
বিস্তারিত পড়ুন